সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২

কয়রায় ২০১৮ সালে স্কুলের ভবণ নির্মাণ কাজ শুরু হয় তিন বছরের ও বেশি সময় পার হলেও কাজ শেষ হয়নি

কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ


খুলনার কয়রা উপজেলা, উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাজী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবণ নির্মাণ কাজ শুরু হয় গত ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে কিন্তু ৩ বছরের ও বেশি সময় পার হলেও ভবণের শুধু চারি সাইড ঢালাই করা হয়েছে অন্য, অন্য কাজ আর হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করছে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস,এম খয়রুল বাশার। 

গতকাল সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় নিচু টিন সেটের ঘরে পাঠদান করা হচ্ছে নেই কোনো বৈদ্যুতিক ফ্যান প্রচন্ড গরমের ভিতরে ছোটো, ছোটো শিক্ষার্থীরা লেখা পড়া করছে। 

এব্যাপারে কথা হয় স্থানীয় অবিভাবকদের সাথে তারা বলেন আমাদের এ-ই স্কুল টি বহু দিন যাবত ভবণ নির্মাণের জন্য আগে যে ভবন টি ছিলো সেটি ভেঙে ফেলা হয় নতুন ভবণ  নির্মাণ করার জন্য কিন্তু দীর্ঘদিন সময় পার হলেও ভবন টা নির্মাণ হচ্ছেনা আমাদের ছেলে, মেয়েরা খুবি কষ্ট করে লেখা পড়া শিখচ্ছে। এবিষয় নিয়ে আলাপ করেছিলাম কয়রা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান এ-র সাথে তিনি বলেন আমার দপ্তর থেকে এই স্কুলের জন্য  দুই বার লিখিত ভাবে LGEDর দপ্তরে জানানো হয়েছে এবং উপজেলা সমন্বয় মিটিংয়ে ঐ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

 ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খোঁজ নিতে গিয়ে কথা হয় LGEDর কয়রার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল কাদেরের সাথে তিনি বলেন গত ২০মে ২০২০ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের জলোচ্ছ্বাসে গাজী পাড়ার বেড়িবাঁধ ভেঙে যায় তার কারণে স্কুল টি নির্মাণ করতে দেরি হচ্ছে। 

আমরা খুব দূরত্ব সময়ে ঐ স্কুলের ভবণ নির্মাণ কাজ শুরু করবো। বিষয় টা নিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিয়াউল ট্রের্ডাস এ-র প্রোপাইটার টিটুর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে এ-ই রিপোর্ট লেখা কালীন সময় পর্যন্ত তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবণ নির্মাণ করার জন্য বরাদ্দ কৃত টাকা  টাকা ১, ২৭,৯২,২০০,০০/-।

খবর নিয়ে জানা গেছে উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নে আরো৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে সেখানেও ভবণ নির্মাণ করার জন্য কাজ কিছুটা করে বাকী কাজ ওভাবে পড়ে আছে।বিদ্যালয় গুলো কাটমাচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,পাথর খালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পদ্ম পুকুর  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: