শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২

মদনে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকির কারণে মামলা

 হাবিবুর রহমান, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :


নেত্রকোনার মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের ,গোবিন্দশ্রী  নছির উজ্জলহাটি গ্রামের  মৌজায়  ৬৮ শতাংশ পৈত্রিক সূত্রে জমির মালিক  সৈয়দ রাসেল মিয়া( ৪৫) ও তার ভাই রুজেল (৪০)কে  প্রাণনাশের হুমকি তার জমিটা জোরপূর্বক  বেদখল করার অপচেষ্টার কারণে।

 সৈয়দ ইদ্রিস ৬৫) , সৈয়দ মতি মিয়া(৬০), সৈয়দ  সোয়েম(২৮), সৈয়দ জুসেব(২২), সৈয়দ সৌরভ(২০), এর বিরুদ্ধে, জমির মালিক সৈয়দ রাসেল মিয়া বাদী হয়ে, নেত্রকোনার আদালতে এক মামলা দায়ের করেছেন।  


উক্ত মামলার আলোকে জানা যায়, গোবিন্দশ্রী মৌজার সাবেক ৩১৭৯ নং দাগে মোট জমি রয়েছে ৬৮ শতাংশ। 
উক্ত জমি সৈয়দ জালাল উদ্দিন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী, ডি সি ,আর মূলে প্রাপ্ত ভোগ দখল করা অবস্থায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বি,আর ,এস জরিপে আগত হইয়া ৬৮ শতাংশ জমি বি, আর, এস,১১২৮ নং খতিয়ানে রেকর্ড ভুক্ত হয় তার নামে।

 উক্ত ৬৮ শতাংশ জমি, জালাল উদ্দিনের মৃত্যুর পর , তার দুই ছেলে সৈয়দ রাসেল ও সৈয়দ রুজেল, তাদের পৈত্রিক সূত্রে মালিক প্রাপ্ত  হইয়া প্রায়, ১২ বছর ধরে ভোগ দখল করে  আবাদ করিয়া আসিতেছেন তারা।
 যা, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সকলেই অবগত আছেন। 

 পৈত্রিক সূত্রে ভূমি অফিসে নিয়মিত সরকারের (খর)ও পরিশোধ করে আসছেন তারা দুই ভাই।
  সর্বশেষ ১৪২৮ বাংলা সরকারি ভূমি অফিসের  পরিশোধিত (খরের) কাগজপত্র ও রয়েছে তাদের কাছে। 

উক্ত জমিতে জোরপূর্বক সন্ত্রাসী কায়দা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে গত ১০ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে অভিযুক্তরা সৈয়দ রাসেল ও তার ভাই সৈয়দ রুজেলের জমিতে গিয়ে, জমি  দখলে নেয়ার চেষ্টা করে, ও জমির মালিকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলে, যেকোনো উপায়ে জমি দখল করবে অভিযুক্তরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, অভিযুক্তের একজন ইদ্রিস মিয়া (৬৫)বলেন, আমাদের কোন কাগজপত্র নাই ।
কিন্তু  তাদের দাদা, ও আমার  দাদা একই ব্যক্তি হওয়ায় আমি জমি দখলের চেষ্টা করেছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের নায়েব জাহাঙ্গীর আলম (চন্দন) বলেন, জমি যার,  নিয়মিত জমির (খর)ও পরিশোধ তারাই করছেন। 

উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে, গোবিন্দশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম (মামুন) তিনি বলেন, ভূমি অফিসের নিয়মিত (খর) পরিশোধিত কাগজপত্র আছে সৈয়দ রাসেলের পিতার নামে। বিবাদীর বিপক্ষে  আদালতের নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে, জমিতে না যাওয়ার জন্য।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, মদন থানা ওসি তদন্ত মাজেদুল ইসলাম তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা যাতে অবনতি না হয়, দুই পক্ষকে বলা হয়েছে। আদালতে মামলা রয়েছে, আদালত যার পক্ষে রায় দিবে, এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: