রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২২

মদনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ; পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র দিয়ে ছাত্রীকে কুপ্রস্তা

 হাবিবুর রহমান, নেত্রকোনা প্রতিনিধি‍ঃ

নেত্রকোনার মদন উপজেলায় পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র দিয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৭) কুপ্রস্তাবের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে। 

তিনি উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের চৌধুরী তালে হোসেন মিছিলজান একাডেমির প্রধান শিক্ষক।

 প্রধান শিক্ষক সোহেল মিয়া উপজেলা মাঘান ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের মৃত মতি মিয়ার ছেলে।

 প্রধান শিক্ষক ইমোতে কুপ্রস্তাবসহ অশ্লীল চ্যাট করেন ওই ছাত্রীর সাথে।

বিষয়টি জানাজানি হলে রবিবার বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। দুপুর ২টায় দশম শ্রেণির গণিত বিষয়ে মডেল টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এর প্রতিবাদে সহপাঠিরা এতে অংশগ্রহণ করেননি। এলাকার শতাধিক ছাত্র-ছাত্রসহ অভিভাবগণ এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেন। 

ওই ছাত্রীর বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে বাড়ির মোবাইল ফোনে কল আসলে মা, ফোন ধরলে প্রধান শিক্ষক পরিচয় দিয়ে  (ছাত্রীর) সাথে পরীক্ষার বিষয়ে কথা বলবেন বলে।

 ফোনে বোনকে প্রধান শিক্ষক বলেন, ইমো নাম্বার দাও গণিতের প্রশ্ন তোমাকে দিচ্ছি। 

পরে আমার ছোট ভাইয়ের ইমো নাম্বারটা  প্রধান শিক্ষককে দেওয়া হয় । এদিকে প্রধান শিক্ষক ভাবছে আমার বোনই চ্যাট করছে। ইমোতে চ্যাটে প্রধান শিক্ষক লিখে তোমাকে আমি প্রশ্ন দিবো তুমি আমাকে কি দিবে। তিনি (প্রধান শিক্ষক) প্রশ্নপত্রও প্রেরণ করেন ও কুপ্রস্তাবও দেন। অন্যপ্রান্তে আমার ছোট ভাই লিখে ‘আপনি স্যার, আপনি কি বলছেন বুঝতেছি না’। ইমোতে ‘আই লাভ ইউ’, ‘তবে ভালবাসা বুড়ো হয়নি’, ‘তোমার একটি ছবি পাঠাও তো দেখি’ এধরণের বিভিন্ন চ্যাটসহ শরীরের গোপনীয় স্থান উল্লেখ করে অশ্লীল চ্যাটও করেন প্রধান শিক্ষক।

 বিষয়টি বোনের সহপাঠিরা অবগত হলে আজ (রবিবার) দুপুরে গণিত পরীক্ষায় কোন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ নেয়নি। বিষয়টি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিকে অবগত করা হয়েছে। ইউএনও মহোদয়ের কাছে অভিযোগ দিবেন বলে জানান ভুক্তভোগীর ভাই।

তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহেল মিয়া তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ওই ছাত্রীকে প্রশ্ন দেওয়া হয় নাই। আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করে এসব করা হচ্ছে।

ওই বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাহবুবুর রহমান জানান, আজ (রবিবার) প্রতিষ্ঠানে এসে দেখি প্রতিবাদ মিছিল ও আন্দোলন করছে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে, ঘটনা কতটুকু সত্য তা জানি নাই।

মাঘান ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মাসুদ তিনি বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক সঠিক তদন্ত করে এর বিচার দাবি করেন তিনি।

মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিনা শাহরিন এ বিষয়ে বলেন, ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগের প্রাপ্তি সাপেক্ষে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: